শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

০৩ মে ২০২৩ ইং
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্কঃ 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৪ মে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার ৩ মে দেয়া এক বাণীতে শেখ হাসিনা একথা বলেন। তিনি “মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোভ, দ্বেষ, লালসাকে অতিক্রম করে গৌতম বুদ্ধ তাঁর জীবন ও কর্মের মাধ্যমে মানবজগতকে আলোকিত করেছেন। তিনি ছিলেন সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উজ্জীবিত। মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধ প্রচার করেছেন অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে এদেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর, মুক্ত ও  সুন্দর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বির্নিমাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে সকলে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।