রাণীশংকৈলে বন্যপ্রাণী শিকার করার দায়ে ৫ আদিবাসীকে জরিমানা


রাণীশংকৈলে বন্যপ্রাণী শিকার করার দায়ে ৫ আদিবাসীকে আটক

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং
স্টাফ রিপোর্টার


স্টাফ রিপোর্টারঃ


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গত সোমবার(৫ ফেব্রুয়ারি) ১০টি বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী শিকারের দায়ে ৫ জন আদিবাসী শিকারিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।


এদিন বিকাল পাঁচটায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের চৌরঙ্গী-ফরিঙ্গাদিঘি এলাকা থেকে ৫ শিকারিকে আটক ও ১০ টি মৃত বন্যপ্রাণী জব্দ করেন।


এ সময় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক আসীম মল্লিকসহ ওই দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক আসীম মল্লিক মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কম এর প্রতিবেদককে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতোর ইউনিয়ন থেকে বন্যপ্রাণী শিকার করার সময় একটি সিএনজি গাড়িসহ ৫ জন আদিবাসী শিকারিকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে শিকার করা বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী ১টি মৃত: বনবিড়াল ও ৯ টি বেজি পাওয়া যায়। সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দিলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ৫ শিকারি ও শিকার করা বন্যপ্রাণীদের জব্দ করে তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়।


এরপর সন্ধ্যায় বন সংরক্ষণ আইনে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে জরিমানা করেন। বন্যপ্রাণী শিকারের দায়ে অভিযুক্তরা হলেন- দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার মৃত সরকার সরেনের ছেলে হপনা সরেন, একই এলাকার মঙ্গল হাজদার ছেলে রবি হাজদা,নরেন হেমরমের ছেলে বাটুল হেমরম, শাহা মর্মুর ছেলে সুকল মর্মু ও মৃত: চুরকা মার্ডির ছেলে মঙ্গল মার্ডি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান,বন বিভাগের কর্মকর্তার মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিকার করা একটি মৃত: বনবিড়াল ও নয়টি বেজি উদ্ধারসহ ৫ শিকারিকে আটক করা হয়। পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৬ ধারায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। পরে উদ্ধার করা মৃত: বন্য প্রাণীগুলোকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এবং প্রাণী শিকার করা সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।

মুক্তির ৭১ /নিউজ / হু. ক