নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা জানিয়েছেন পরিষদের ১২সদস্যের মধ্যে ৯ জন সদস্য।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আঁখিনূর জাহান নীলা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরআগে বিকেলে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দাখিল করেন পরিষদের ৯ সদস্য। তারা হলেন- সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য শেফালী বেগম, আলেয়া বেগম, রুমি আক্তার, সাধারণ সদস্য মো. গোলাম কুদ্দুস, মো. নাছির, মো. আহছান উল্যাহ, আবুল কালাম, মো. হানিফ শেখ ও আবুল বাশার।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম কালাদরপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করে আসছেন। এতে সেবার পরিবর্তে শোষণের শিকার হচ্ছেন ইউনিয়নবাসীরা। তাই জনগণের তৃণমূল জন প্রতিনিধি হিসেবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন ।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হানিফ শেখ বলেন, চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যা সেলিমের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেও আমরা অনাস্থা প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে,এম,সামছুদ্দিন জেহান ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে আমরা পুনরায় একসঙ্গে কাজ শুরু করি। কিন্তু চেয়ারম্যান সেলিম তার স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম আরও বাড়িয়ে দেন। এতে নিরুপায় হয়ে আমরা আবারও অনাস্থা দিতে বাধ্য হলাম।জানতে চাইলে কালাদরপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, আমাদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আজকে আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দীন জেহান উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। আশাকরি অভিযোগকারীরা তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নেবেন।তবে বারবার ফোন দিলেও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান ফোন রিসিভ করেননি।
মুক্তির ৭১/নিউজ /সাইফুল