বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • কৃষি

    কলাপাড়ায় করলার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

    কলাপাড়া প্রতিনিধি থেকে
    প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪ ইং
          157
    ছবি: কলাপাড়ায় করলার বাম্পার ফলন।
      Print News



    কলাপাড়া প্রতিনিধি:


    স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের করলা।


    উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন করে নজর কেরেছে পটুয়াখালীর  কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারার কৃষকরা। স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কলাপাড়ার আওতায় পঁচিশজন কৃষক গ্রুপ করে পাঁচ একর জমিতে করলা চাষ করে এবার বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। চাষাবাদের সময় থেকে ফসল উৎপাদন পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা আয়ের আশা কৃষকদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে শুধু গ্রুপ নয় আধুনিক চাষাবাদ দেখে ইউনিয়নের অনেক কৃষক এখন করলা চাষ করে লাভবান। যেদিকে চোখ যাবে মাঠ ভর্তি শুধু করলা আর করলা। কৃষকরা বলেন, খালে লবন পানি না ঢুকালে আমরা মিষ্টি পানি ব্যবহার করে সারা বছর কৃষিতে বাম্পার ফলন ফলাতে পারবো।  কৃষক আলতাফ হোসেন গাজী জানান, বাংলাদেশের মধ্যে আমরা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকরা এসএসিপি এর প্রশিক্ষন পেয়ে সবচেয়ে বেশি করলা উৎপাদন করতে পেরেছি। কৃষক সুলতান গাজী জানান, আগে আমরা সনাতন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতাম। এখন আমরা কৃষি অফিস থেকে এসএসিপি এর প্রশিক্ষণ পেয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষাবাদ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছি। কৃষক আব্দুল হক জানান, আমরা কুমিরমারার কৃষকরা চৈএ মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত লতা কৃষিকাজ করতে থাকি। কৃষক আবুল কালাম জানান, আমরা কৃষরা আগে মাঠের ধূলা টেনে কৃষিকাজ করতাম বর্ষা এলে ধূলা ধুয়ে গিয়ে গাছের গোড়া পঁচে গাছ মরে যেত আমরা কৃষরা এতে ক্ষতিগ্রস্থ হতাম। এখন আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে এসএসিপি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠে উচু বেড করে সবজি লাগাই এখন আর বেড ধুয়ে যায়না। কৃষি নষ্ট হয়না। আগে লোকাল বীজ দিয়ে চাষাবাদ করতাম এখন আমরা হাইব্রিড বীজ দিয়ে চাষাবাদ করি। শুকনা সিজনে খালে লবন পানি না ঢুকালে সারা বছর আমরা বাম্পার ফলন ফলাতে পারবো। আড়ৎদার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিমারা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারশত থেকে পাঁচশত মন করলা পাঠানো হয়।

     কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন জানান, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষরা প্রচুর পরিমান উচ্চ মূল্যের ফসল করলা উৎপাদন করেছে। তারা স্থানীয় চাহিদা পূরন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ করলা পাঠাচ্ছে। এসএসিপি সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের আমাদের অফিসে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আধুনিক পদ্ধতিতে রেইজড বেড করে কিভাবে করলা চাষ করতে হয় তা আমরা কৃষকদের হাতে কলমে শিখিয়েছি। আর এ প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে কৃষরা আজ লাভবান।

    মুক্তির ৭১/নিউজ /রাসেল


    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 764882