বুধবার, ০১ মে ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • জীবনযাপন

    ইবিএ - প্রকল্প বাস্তবায়নে সুফল পাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের চার উপজেলার মানুষ

    রাজশাহী প্রতিনিধি থেকে
    প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
          66
    ছবি: ইবিএ - প্রকল্প
      Print News



    রাজশাহী প্রতিনিধি:



    বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর নানামুখী প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বস্তি ফিরেছে উত্তরাঞ্চলের মানুষের। বিএমডিএ এর অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও ইকোসিস্টেম বেজড এপ্রোসেস টু এডাপটেশন (ইবিএ) প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সুবিধাভোগী হয়েছে উত্তরাঞ্চলের চার উপজেলার মানুষ। ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৫ টি পুকুর পুন:খনন,  ৩.৫ ও ২.৫ কি:মি: দুইটি খাল খনন এবং ২ লাখ ৪৯ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন টার্গেট নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ টি পুকুর পুন:খনন ও ৩.৫ কি:মি: একটি খাল খননের কাজ শেষ হয়েছে। অপরদিকে পরিবেশের সুরক্ষা এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ১ লক্ষ ৯০ হাজার ঔষধিসহ অন্যান্য গাছ। 

    খাল খননের ফলে বৈশাখ মাসেও খালে প্রচুর পরিমান পানি পাচ্ছে কৃষকরা। খালের দুইধারে অসংখ্য এলএলপি বসিয়ে কৃষকরা বোরো ধানে সেচ দিচ্ছে। শিবনদীর সাথে সংযোগ স্থাপনের কারনে এই খালে সব সময় পানিও থাকছে। তানোর উপজেলার লবাতলা এলাকার কৃষক সামাদ আলী ও জয়নাল হোসেনের  সাথে কথা বললে তারা জানা যায়, বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ গত বছর খালটি খনন করে দিয়েছে। যার কারনে আমরা এখন সারা বছর নিশ্চিন্তে খালের পানি দিয়ে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারছি। কিন্তু আগে দুরদুরান্ত থেকে অনেক কষ্ট করে ডিপটিউবয়েলের পানি এনে আবাদ করতে হতো। কোন কোন বছর পানি না পাওয়ায় ধান নষ্ট হয়ে যেত বলে জানা তারা।

    এছাড়াও বিবর্জিত পুকুরগুলো সুন্দরভাবে পুকুর পুন:খনন করার কারনে জনসাধারণ পুকুরের পানি ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজ সারছে। শুধু তাই নয়, কোন পুকুরে ১টি, কোন পুকুরে ২টি করে পাকা সান বাধানো ঘাট করে দেয়া হয়েছে। এর সাথে উঁকি দিচ্ছে পুকুরের পাড়ে রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। এ যেন, নয়নাভিরাম ‍দৃশ্যের অবতারনা করছে। পাক পাখালির কলতানে মুখরিত হচ্ছে এলাকাগুলো।

    উপকারভোগীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, পুকুরগুলো হাজামাজা অবস্থায় ছিল। পুকুরগুলো খননের ফলে নিশ্চিন্তে দৈনন্দিন কাজ সারতে পারছে তারা। পুকুরে মাছ চাষ হচ্ছে। পুকুর পাড়ে স্বল্প সেচের শাকশব্জি চাষাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ১৪ টি, চাপাই নবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ১৬ টি, গোমস্তাপুর উপজেলায় ১২ টি এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ২ টি পুকুরের পুন:খনন করা হয়েছে। 

    কার্যক্রমের বাস্তবায়ন নিয়ে ইবিএ প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ও বিএমডিএ রাজশাহীর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে খরা প্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষকে অভিযোযন করে বেঁচে থাকা। বরেন্দ্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কৃষি কাজ ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্যে পানি একটি পরিহার্য উপাদান। ২০১৯ সালে ইবিএ প্রকল্পের মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চরের ৩টি উপজেলা (তানোর, নাচোল ও গোমস্তাপুর) এবং রংপুর জেলার পীরপঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষামুলক ভাবে সীমিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। অবশ্য এর মুল কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে। বিএমডিএ অংগে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে অভিযোজন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ৪৫টি পুকুর পুন:খনন, ২টি খাল পুন:খনন এবং ২লক্ষ ৪৯হাজার বৃক্ষ পুন:বনায়ন এর কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়।

    ইতিমধ্যে ৪৫টি পুকুর পুন:খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তানোর উপজেলায় লবাতলা ব্রীজ হতে শীবনদি পর্যন্ত‌ ৩.৫কিলোমিটার খাল পুন:খনন করা হয়। খননকৃত বিভিন্ন পুকুর পাড়, রাস্তা এবং খাল পাড়ে এ পর্যন্ত‌ ১.৯০লক্ষ বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধি ও দেশী জাতের পরিবেশ বান্ধব বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।


    পরে ইবিএ প্রকল্পের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) পরিবেশ অধিদপ্তর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ঢাকা এর  উপ-পরিচালক এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের অংগের কাজ অত্যন্ত সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে সম্পাদিত কাজের প্রতিটি সাইট আমি নিজে এবং বিদেশী দাতা সংস্থার একাধিক প্রতিনিধি একাধিকবার প্রকল্পের এলাকার কাজ পরিদর্শন করেছেন। দাতা সংস্থা বিএমডিএ’র কাজ দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং প্রকল্পের কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৪৫টি পুকুরের স্থলে ৭০টি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে ঐ সব এলাকার জনগোষ্ঠী ব্যাপক সুবিধাভোগী হবে। বিশেষ করে বনায়ণগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়বে এবং পাক-পাখালীর অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।


    মুক্তির ৭১/ নিউজ / সমিত

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 490842

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ

            ৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২

            ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।

            যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২

            ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com