নিজস্ব প্রতিবেদক:

বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বেঙ্গল স্যু ইন্ড্রাষ্টিজ নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। এসময় ওই সড়কে ৪ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের দিকে যাওয়া যাত্রীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কের রায়পুর রাখালিয়া বাজার এলাকায় কারখানার সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। 

এর আগে, শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে কারখানার ম্যানেজার সাইফুল কবির, সিনিয়র প্রডাকশন ম্যানেজার নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান এবং পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ সাদি। বৈঠকে শ্রমিকদের রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে ব্যাংক হিসেবে এক মাসের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে, লিখিত না পাওয়ায় শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের দেওয়া আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেন।

শ্রমিকরা জানান, এক একজন শ্রমিকের ২-৯ মাস পর্যন্ত ওভারটাইম বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে হঠাৎ নোটিশ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে আজ ৩০ মার্চ সকাল ৮ টা থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ করে দেন মালিক পক্ষ। আজ সকালে কাজে এসে বেঙ্গল স্যু কারখানায় তালা ঝুলতে দেখতে পান তারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শ্রমিকরা। পরে ইউএনও, সহকারী পুলিশ সুপার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মালিক পক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে লিখিত চুক্তি হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান শ্রমিকদের উদ্দেশে চুক্তির কথা জানান। তিনি শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মালিক পক্ষ-শ্রমিক পক্ষের লিখিত যৌথ চুক্তি পড়ে শোনান। 

ইউএনও মালিক পক্ষের সঙ্গে ফোনালাপ ও মালিক- শ্রমিক পক্ষের চুক্তির রেফারেন্স দিয়ে বলেন, আগামীকাল রোববার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে ঈদ বোনাসের ২৫ শতাংশ এবং ঈদের পরে মার্চ মাসের বেতনের সঙ্গে বোনাসের অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ দেওয়া হবে।  

এদিকে, শ্রমিকদের একাংশ এই ঘোষণা না মেনে রাস্তায় বসে পড়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে রাস্তা থেকে নামিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপরই ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

লাঠিচার্জের বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক জানান, শ্রমিকদের দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। আমরা লাঠিচার্জ করিনি।

মুক্তির ৭১/নিউজ /দেলোয়ার