শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • সাহিত্য পাতা

    ছোট গল্প : বিপন্ন ঊর্ণাজাল

    থেকে
    প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ইং
          349
    ছবি: লেখিকা ঈশিকা মুন
      Print News


    ঈশিকা মুন:


    কধর ধর ধর.... সবাই জড়ো হয়ে একটা লোককে মারতে থাকে। চোরটা দোকান থেকে রুটি চুরি করে দৌড় দিয়েছিলো এটাই তার অপরাধ। মুনা ভয়ে ভয়ে রাস্তা পার হয়। চারদিকে আহাজারি, মারধোর, চুরি ছিনতাই, হিংস্রতা ছড়ানো ছিটানো। বাড়ি ফিরে পানি খেয়ে একটু বিশ্রাম নেয় সে। দুপুরে আবার টিউশনি রয়েছে। রান্না টা সেরে ফেলতে হবে দ্রুত। চাল যা রয়েছে তাতে আর দুই দিন হবে। ভাতের ভিতর আলু সিদ্ধ দিয়ে পাশে থাকা টেবিলে ডায়েরি টা হাতে নেয় সে। ডায়েরি টায় সমস্ত কিছু লিখে রাখে সে। বাজারের ফর্দ তুলে রাখা সেখানে। বাবার জন্য

    ওষুধ, মায়ের জন্য নতুন চশমা, ছোট বোনের কলেজ ফি, ভাইঝির জন্য নতুন খেলনাপাতি, চাল, ডাল, দুধ, চিনি, পিয়াজ ইত্যাদি। ভাত হতে এখনো বেশ সময় লাগবে, পংগু বাবাকে রোদে বসিয়ে দিয়ে আসে সে। শীতের প্রকোপ এবার হয়তো বেশি। বাবার চাদরে দু একটা তালি দেয়া এত পাতলা চাদরে শীত মানছে বলে তো মনে হয়না মুনার।


    পাশের ঘর থেকে মা ডাকছে মুনা।

    -হ্যা মা 

    - তোর কি টিউশনির টাকাটা হাতে পেয়েছিস


    -না মা গিয়েছি দেয়নি। আজকে শিপনবাবুর অফিসে খোজ নিয়েছি চাকরিটার বিষয়ে। সেখান থেকে আসতেই দেরি হলো। বললো জানাবে শ্রীঘই।


    মায়ের মুখটা একদম চুপসে গিয়েছে এটা মুনা আন্দাজ করতে পেরে ঘর থেকে বের হলো। এক সপ্তাহ ধরে ঘরে কোনো বাজার নেই শুধু ভর্তা দিয়েই পেট চালাচ্ছে সবাই। পাশের ঘরে ভাই ভাইয়ের বউয়ের এ নিয়ে অবশ্য মাথাব্যাথা নেই। মুনা একাই বাবা-মা, বোনের দিকে খেয়াল রাখে সংসারের সব খরচ তার ই দেখতে হয়। পড়াশোনা জানা শিক্ষিত মুনার ঘরে বসে থাকলে চলবে কেন!


    চাকরির জন্য তুহিন ভাইয়ের অফিসে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে মুনা। একজন চা দিয়ে যায়। ব্যাগের ভিতরে রাখা হ্যামলেট বের করে মুনা। এটা তার অভ্যাস বাসে বা কোথাও বসে বই পড়া। তুহিন এসে মুনাকে বসে থাকার জন্য সরি জানায়। চাকরি নিয়ে মুনার সমস্যা তুহিনের জানা। তুহিন তার অফিসে কোনো ভাবে মুনাকে রাখতে পারলে ও মুনার উপকার হত। আজ ও অনিশ্চিত হয়ে বের হতে হয় অফিস থেকে মুনার। প্রচন্ড রোদে ঘামে ভিজে যায় মুনার শরীর কিন্তু যে কয় টাকা ব্যাগে আছে তা দিয়ে রিক্সায় চড়া এখন তার পক্ষে সম্ভব না সকালে এক কাপ চা খেয়েই বের হয়েছে সে, অফিস ঘুরে ঘুরে চা, কিছু মানুষের লোলুপ দৃষ্টি এগুলোই হজম করতে হয় তাকে প্রতিনিয়ত। গত মাসের মাইনে টা আজ পাবার কথা। স্টুডেন্ট দের বাড়িতে মস্ত বড় তালা ঝুলছে। এতদূর হেটে এসে মুনা আবার পা চালায়। মাথায় কবিতা চলে আসে ক্ষুধায়-


    আমি পালন করার প্রতিশ্রুতি আছে, এবং ঘুমের আগে মাইল যেতে হবে, এবং ঘুমানোর আগে মাইল যেতে হবে


    রাস্তার পাশে বিরিয়ানী, পোলাউ মাংসের কড়া গন্ধ নাকে এসে লাগে তার।


    আচ্ছা ব্যগের মধ্যে "হ্যামলেট "বইটার পৃষ্ঠা যদি ছিড়ে খাওয়া যেত এর স্বাদ ও কি বিরিয়ানির মত লাগতো! মুনা  আপন মনে হাসে।


    হাতঘড়ি তে খেয়াল করে দেখে দুপুর ৩.৪৫ মিনিট। আজকে তার অনিকের সাথে দেখা করার কথা। অনিকের চাকরি নিয়ে ও মুনা টেনশন করে। টিউশনি ছেড়ে দেয় নিজের দুই একটা অনিকের জন্য। ওদের দেখা করার নিদৃষ্ট জায়গা হচ্ছে জীবনানন্দ দাশ রোড। সেখানে মামুন ভাইয়ের চায়ের দোকানে বসে আলাপ চলে ওদের। অনিক মুনার জন্য আজকে একটা গোলাপ নিয়ে এসেছে তার মুখ হাসি তে ভরা। খোঁচা দাড়ি নেই, উস্কখুসকো চুল নেই। শার্ট পড়া। কাহিনী কি?


    -একটা বিস্কুটের কারখানার ম্যানেজার পদে আমার চাকরি হয়েছে মুনা।


    খুশিতে চোখ জ্বলে উঠেছে মুনার। এই সংবাদ এত কষ্টের খরার মধ্যে বৃষ্টির মত সুখের। খুব অল্প সময় কাটায় দুজন। মুনা খুশি মনে বাসা ফেরে। বাসায় গিয়ে পোড়া মরিচের ভর্তা বানায় সে। ভাত খেয়ে ডায়েরির পাতায় লিখে রাখে দিনটা। গোলাপ টা টেবিলের উপর রেখে হ্যামলেট বইটা নিয়ে শুয়ে থাকে। মুনার বান্ধবী রিনি আসে বিয়ের দাওয়াত নিয়ে সন্ধ্যাতে। একই দিনে এতগুলা খুশির সংবাদ এ মুনার মন ভরে ওঠে।


    বেশ কয়েক মাস ধরে ল্যান্ডফোন এর লাইনে সমস্যা মুনাদের। অনিকের ব্যস্ততায় তাদের দেখা কথা কম হয়। একটা স্কুলে পার্ট টাইমের চাকরি করে মুনা। এরপর টিউশনি করিয়ে বাড়ি ফেরে। সন্ধ্যার দিকে বাজার জমে ওঠে। মাছের বাজার এ গিয়ে দর কষাকষি করে বাবার পছন্দের ইলিশ কেনে, মা ইলিশ এর গন্ধ সহ্য করতে পারেনা তার জন্য ছোট মাছ কেনে। টিউশনির সব টাকা বাজার করেই শেষ হয়ে যায়। নিজের জন্য এইবার ও নতুন একটা পায়ের জুতা কেনা সম্ভব হয়না তার।


    মুনার নিজেকে "মেঘে ঢাকা তারা" সিনেমার প্রটাগনিশষ্ট মেয়েটাকে মনে হয়।


    বাড়িতে ফিরে দেখে চাচা চাচি এসেছে। বিয়ের কথাবার্তা নিয়ে। মুনাকে টিপ্পনী কেটে কথা শুনায় তারা। মুনার বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে পঁচিশ ছাব্বিশ বয়সী মেয়ের আর কি বিয়ে হবে। মুনার ছোটবোনের বিয়ে নিয়ে কথা বলে তারা। মুনা মাছ কেটে রান্না বসিয়ে দেয়। বাড়িওয়ালাদের ল্যান্ডফোনে অনিকের সাথে যোগাযোগ হয় মুনার। পরেরদিন দেখা করার জন্য সুমির থেকে জামা ধার করে এনে পরে মুনা। চোখে কাজল দেয়, কপালে কালো টিপ। সংসার এর খাটুনী টেনে নিজেকে আর সাজানো হয়ে ওঠেনা সহজে। অনিক মামার দোকানে অপেক্ষা করছে মুনা হাসিমুখে সামনে দাড়ায়। অনিকের মুখ টা বদলে গিয়েছে চিরচেনা মুখ নয় কঠিন একটা মুখ। মুনাকে নিয়ে রিক্সায় উঠে একটা চাইনিজ রেস্তোরাঁর সামনে নামে। রিক্সায় মুনার হাত টাও সে ধরেনা। ভিতরে ঢুকে বসে দুজন। অর্ডার দেয়, স্যুপ, চাওমিন আর কাটলেট এর। এই প্রথম মুনাকে নিয়ে দামী কোথাও বসা হয়েছে তাদের। মুনা এর আগে কখনো এমন জায়গায় বসবার সাহস করেনি। খাবার আসতে সময়টুকু তে মুনা অনিকের হাত ধরে। এই প্রবল কষ্টের জীবনে অনিকের যত্নটুকু সোনার হরিণ এর মত তার কাছে। কিন্তু অনিক খুব ব্যাস্ততা দেখায়। মুনার সাজের দিকে ও একবার ভালো করে খেয়াল করেনি সে। মুনা শুধু একবার তার চোখ পড়ে ফেলে। খাবার চলে আসে। মুনা কথা না বলে চুপচাপ খায়। অনিক ও কথা বলেনা। হঠাৎ করে অনিক কথা বলে ওঠে


    -আমার এখন ব্যাস্ততা অনেক। বসের মেয়েকে পর্যন্ত আমার কলেজ থেকে নিয়ে আসতে হয়। অবশ্য আমার এই কাজ না। আমার উপর বস অনেক খুশি তাই তার পরিবারের সবার সাথে যোগাযোগ করিয়েছেন। বাসায় দাওয়াত দিয়েছেন ঘনিষ্ঠতা তাই বেড়েছে। বসের ঘরের সব দিক ই আমি এখন দেখি।


    মুনা মুচকি হাসে।


    -বসের মেয়ে নিশ্চয়ই অনেক সুন্দরী


    -তা তো হবেই। এমন সুন্দর মেয়ে আমি আর দেখিনি। দেখলেই মনে হয় গোলাপের নির্যাস বের হয় শরীর থেকে দূরে বসেও তুমি সেই ঘ্রাণ পাবে হাহাহা।


    মুনা অনিকের চোখে অন্য এক ছায়া দেখতে পায়। নিজেকে কুটিকুটি করে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছা হয় তার। অনিক বসের গাড়িতে করে ফিরবে জানায় মুনাকে ও অপেক্ষা করতে বলে। মুনা হাসি দিয়ে রিক্সা করে চলে যাবে জানায়। অনিক আর অপেক্ষা করেনা সে চলে যায় মুনাকে রিক্সা না করে দিয়েই।


    তপ্ত রোদে মুনার মনে হয় রাস্তার পিচের সাথে তার পা গলে যাচ্ছে। সে হাটতে থাকে। মুনার মন খারাপ হলে মুনা হাটে। হাত ব্যাগ থেকে টাকা বের কিরে বাজারে ঢুকে কিছু নষ্ট হয়ে যাওয়া মাছ কম দামে বিক্রি হচ্ছে দেখে সেগুলো কেনে। আবার হেটে যায়। মুনা মনে মনে হাসে, দীর্ঘ ৬ বছরের ভালোবাসা শোধ হয়ে গেল কিছু দামী খাবারের কাছে। বাড়ি ফিরে মাকে জিগ্যাস করে


    -মা আমার শরীর থেকে তুমি কিসের ঘ্রাণ পাচ্ছো


    মা জানায় পচা মাছের গন্ধ। মুনা জোরে হেসে ওঠে। শাওয়ারে গিয়ে পানিতে মুখ ডুবিয়ে কান্না করে যে কান্নাতে চিৎকার কেউ শুনতে পায়না।


    নতুন এক টিউশনির বাসায় মুনার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেখানে তার স্টুডেন্ট এর এক ভাই রবি নামে একজনের সাথে


    বন্ধুত্ব বাড়ে তার। মুনার ক্রমশই মানুষটার সুখ দুঃখের প্রতি অনুভূতি জন্মায়। একদিন রবি নৌকায় মুনার হাত ধরে অনুভূতিগুলো মুনার কাছে নতুন নয় কিন্তু মানুষ টা নতুন। এবং মানুষ টার জন্য নতুন। এক মুনা নিজেকে অনুভব করে। তারা প্রায়ই ঘুরতে বের হয়। নৌকায় ঘুরে বেড়ায়। রবি মুনাকে কপালে চুমু দেয়। রবির চুম্বন মুনার কাছে আত্মার পরিশুদ্ধির মতন ছিলো। মুনার কাছে সব কিছুই সুন্দর নতুন মনে হচ্ছিলো। রবি একদিন তাকে জানায়, মুনাকে সে কোনো রকম সম্পর্কে রাখতে চায় না। কমিটমেন্ট এর মধ্যে সে নেই। এগুলা মেনে যদি মুনা তার সাথে সম্পর্ক রাখে তবে সব ওকে। মুনা কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যায়। কিন্তু দিনদিন পরিবারে বিয়ের প্রেশার, চাকরির চিন্তা, নিজে বুড়িয়ে যাওয়া সব মিলেই জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তার। এত কিছুর মধ্যেও তার শান্তি লাগে ফোনে রবির সাথে কথা বলার সময় টুকু। এভাবে করে বছর অতিবাহিত হয়ে মুনা যখন রবির জন্য অসহ্য এক যন্ত্রণা অনুভব করে সে বুঝতে পারে এই যন্ত্রণার নাম আছে তা হচ্ছে ভালোবাসা। যেই জিনিসের কোনো দাম নেই। বিশেষ করে মুনার মত নিম্নবিত্তের মেয়ে রবির মত কাউকে বন্ধু বা সম্পর্কের নাম নেই এমন কিছুতেই মানিয়ে যায় অন্য কিছু ভাবা


    বিলাসিতা।


    রবির জন্মদিনে মুনা কালো শাড়ি পড়েছে কপালে কালো টিপ হাতে একটা বই উপহার নিয়ে রবির বাসার সামনে যায়। সেখানে অনেক মেয়েদের দেখতে পায় সে, সবাই অনেক সেজেগুজে দামী শাড়ি এবং গিফট নিয়ে এসেছে রবির জন্য। নিজের অর্থহীনতা তাকে কুটে কুটে থায়। নিজেকে সেই মুহুর্তে তার মনে হয় চোরাবালির উপর পা পড়েছে নিচে চলে যাচ্ছে সে অতলে।


    রবির অন্য বান্ধবীরা মুনার সাথে কথা বলেনা। সে একপাশে বসে থাকে। রবি এক বান্ধবী রুপালী কে দেখে মুনা একটা কুৎসিত উপলব্ধি অনুভব করে তা হচ্ছে খুন। মুনার মেনে নিতে কষ্ট হয় রুপালি এর সাথে রবির এত ঘনিষ্ঠতা। রুপালির এত টাকা হয়তো কখনো এমন হতে পারে রবির সাথেই রুপালির বিয়ে। অসম্ভব তো নয়, বিয়ে এক প্রকার বিজনেস এই দেশে। সেদিন আর রবির সাথে তার কথা হয়না। বাড়ি ফিরবার পথে এডগার এলান পো এর কবিতার একটা লাইন বিশেষ সে রবিকে মেসেজ করে দেয় যা সে মনে মনে আওড়াচ্ছিলো এবং আমি যা ভালোবাসি, সব একাকী বিপন্ন 

    রবি এই মেসেজ এর আগামাথা কিছুই বুঝতে পারেনা। ব্যাস্ততায় সে আর মুনার সাথে কথা ও বলতে পারেনা। কয়েক মাস এভাবেই চলতে থাকে তাদের মধ্যকার যোগাযোগ একদিন রবি খুব খুশি হয়ে মুনাকে ট্রিট দিবে বলে বাহিরে নিয়ে যায়। খেতে বসে একটা নামি-দামি রেষ্টুরেন্টে রবি জানায় যে, অষ্ট্রেলিয়ার এক ভার্সিটিতে তার জব হয়েছে টিচার হিসেবে। এত খুশির খবর শুনে মুনা হেসে ও দেয় কান্না ও করে। কান্নার কারণ আজ ও তাকে শুনতে হয়েছে কঠিন কিছু হারিয়ে ফেলবার মত কিছু। রবি যে কখনোই ফিরবে না আর ফিরলে ও মুনার জন্য না এই কঠিন বাস্তবতা তাকে


    ভিন্ন ভাবে অশ্রু ঝরিয়েছে। রবি তাকে জিজ্ঞেস করে-


    রবি: কি হয়েছে? তুমি কাঁদছো?


    মুনা:না খুশি লাগছে তাই এমন হয় আমার।


    রবি: জানো এটাই আমারইচ্ছা ছিলো এখান থেকে দূরে চলে যাওয়া। আচ্ছা মুনা, তোমার ইচ্ছা কি বলোতো?


    মুনা মুখে হাসি দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলে আমার ইচ্ছা?


    রবি, আমার ইচ্ছাগুলো সকালের পদ্মের মত। যে পদ্মের পাপড়িগুলো সকালে প্রস্ফুটিত হয়ে সন্ধ্যাতেই গুটিয়ে যায়। রবি বুঝতে পারেনা মুনা কি বলতে চাচ্ছে।। মুনা উঠে যায় রবির হাত টা একবার ধরে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। রবির চোখ অন্য একটা ইউনিভার্স এই জগতটায় মুনার জন্য ভালোবাসা নেই ঠিক কিন্তু অনেক সম্মান আর যত্ন ছিলো । রবি কিছু না বুঝতে পেরেই মুনাকে শেষ বারের মত একটা চুমু দেয় তার কপালে।


    ঘৃণায় মুনার চোখ মুখ লাল হলে ও সে হাসি দিয়ে চলে আসে রবির থেকে। কেন এই ঘৃণা মুনা জানেনা তবে সে জানে এই প্রস্থান চিরতরের ই প্রস্থান। ভালোবাসা থেকে চুম্বন কে,কেউ স্নেহ বানালে তার জন্য ঘৃনা তরতর করে বেড়ে যাওয়া ই স্বাভাবিক। মুনা চোখ মুছে হাসি দিয়ে আকাশে এক কোনে একাকী চাঁদ দেখে। এই ভালোবাসাবাসি গুলো আসলে নিছক শব্দ মাত্র।। ধোঁয়া যেমন মিলে যায় অন্ধকারে ভালোবাসা ও তেমন।


    জীবন থসে ক্ষয়ে গিয়েছে বহুবার মুনা জানে অনেক দূর পথ চলতে হবে তাকে। বন্ধ ঘড়ির মতন থেমে থাকলে চলবেনা তার। ক্ষয় হয়ে যাওয়া জীবন নিয়ে সে উঠে দাড়ায়।

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 493532

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ

            ৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২

            ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।

            যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২

            ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com