বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • বাংলাদেশ

    পীরেরচকে পাহাড় কাটায় বাধা দিয়ে নিহত আশিক, মামলা নিয়ে লুকোচুরি

    বিশেষ প্রতিনিধি থেকে
    প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩ ইং
          276
    ছবি: নিহত আশিক
      Print News

    বিশেষ প্রতিনিধি:


    সিলেট সদর উপজেলার শাহপরান এলাকার পীরের চক কিশোরীগুল স্কুলটুলা নামক স্থানে অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় আশিক মিয়া নামের এক যবক খুন হয়েছেন। পীরেরচক কিশোরীগুল স্কুলটুলা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। ঘটনাটি গত রোববার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটে।

    জানা যায়,পীরের চক এলাকায় অবৈধ ভাবে টিলা কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আশিকের। এক পর্যায়ে টিলার মাটি কাটার মেশিন দিয়ে আশিকের বুকে সজোরে আঘাত করে মাটি খেঁকো চক্রের সদস্যরা। সে সময় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা দ্রæত তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আশিক মিয়ার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এই হত্যাকান্ডের সাথে নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয়দানকারী খোরশেদ, নামধারী এক সাংবাদিক, জনি আহমদ ও সার্জন নামের যুবক সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাদের সেল্টারে টিলা কেটে মাটি বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো এই চক্রটি। এবং তারা স্থানীয় থানার পুলিশকে ম্যানেজ করেই তাদের ব্যসা চলছিলো। নিহত আশিক মিয়ার ভাই গতকালই তড়িগড়ি করে নিহতের স্ত্রীকে না জানিয়ে শাহপরান (রঃ) থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সেখান থেকে বাদ যায় ঘটনার সেল্টারদাতা ও পুলিশ সদস্য পরিচয়দানকারী খোরশেদ এর সহযোগী জনি মিয়া ও কতিত সাংবাদিকের নাম। নিহত আশিক মিয়ার স্ত্রীর আরো জানান, তার দেবর থাকেন ঘটনার স্থান থেকে অনকে দূরে, উনি তাই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুইজনকে বাদ দিয়ে মামলা করেছেন। অথচ আমরা ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দিলে থানা মামলা নেয়নি। আমি প্রয়োজনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাব। সেখানেও আমাদের আবেদনপত্র গ্রহণ না করলে কোর্টে যাবো। তারপরও আমার স্বামী হত্যার জন্য দায়ীদের ছাড় দেবনা। এদিকে ২০মার্চ সিলেট নগরীর শাহ্ মানিকপীর রহঃ মাজারে নিহত আশিক মিয়ার দাফন সম্পুর্ন হয়েছে। নিহতের স্ত্রী কবিতা জানান সাড়ে চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে তাদের এবং তিনি ৮ মাসের অন্ত:সত্তা। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন থেকে অবৈধ ভাবে টিলার মাটি কাটছে ঐ চক্রটি। তাদের কাজে বাধা দেওয়ায় এই চক্র পরিককল্পিত ভাবে আশিক মিয়াকে হত্যা করেছে। তারা আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবী করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এক সময় মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে ছিল অসংখ্য পাহাড় ও টিলা। অনেক জায়গায়ই পাহাড় টিলার সেই দৃশ্য এখন আর নেই। নির্বিচারে টিলা কেটে সাবাড় করে ফেলছে প্রভাবশালীরা। পরিবেশ অধিদপ্তর যেন নাকে সরিষার তেল লাগিয়ে ঘুমাচ্ছে। মিডিয়ায় খবর ছাপা হলে মাঝে মধ্যে নামকা ওয়াস্তে অভিযান চালালেও কার্যত টিলা কাটা থামছেই না। সিলেট নগরীর পরিধি বাড়ায় টিলা কাটায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। শীত, বর্ষা সব মৌসুমেই চলছে টিলা কাটা। মাটি কাটার পর টিলা যখন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায়, তখন অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। অন্যদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, দিন দিন মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট। গত বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে সিলেটবাসীকে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সিলেট নগরীর বালুচর, মলাইটিলা, ব্রাহ্মণশাসন, হাওলদারপাড়া, খাদিমপাড়া, মেজরটিলা, দুসকি, টিলারগাঁও, খাদিমনগর, খাদিমপাড়া, গুয়াবাড়ী, জাহাঙ্গীরনগর, আখালিয়া বড়গুল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা টিলা, নালিয়া, সাহেববাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় টিলা কাটা চলছে অহরহ। কোথাও প্রকাশ্যে আবার কোথাও রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে এসব টিলা। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে টিলা কাটার ফলে অনেক টিলা ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় টিলা ধ্বসের ঘটনায় প্রাণহানিও ঘটেছে। এবার টিলা কাটায় বাধা দেওয়ায় প্রকাশ্যে খুন হলেন বাধাপ্রদানকারী। এবিষয়ে সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিচালক ইমরান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি দুই মাস থেকে ঢাকা ট্রেনিংয়ে আছি।

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 485202

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ

            ৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২

            ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।

            যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২

            ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com