বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • বাংলাদেশ

    জনগণ বিএনপি-জামাত জোটকে আর কখনই ক্ষমতায় আনবেনা : প্রধানমন্ত্রী

    নিউজ ডেস্ক থেকে
    প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩ ইং
          320
    ছবি: বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
      Print News

    নিউজ ডেস্ক:



    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি  বলেছেন, দেশের জনগণ কখনই বিএনপি-জামায়াত জোটকে আর ক্ষমতায় আসতে এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না।


    সরকার প্রধান বলেন, ‘বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারি, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারি এরা কোনদিন এদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের কখনো মেনে নেবে না।’


    তিনি  আজ রোববার ১৯ মার্চ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।


    তাঁর সরকার যে দেশের উন্নয়নে যে কাজগুলো করেছে সেগুলো ঘরে ঘরে মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। কারণ, তারা (বিএনপি-জামাত) মানুষের কাছে বার বার মিথ্যা বলে বলে সেই মিথ্যাটাকেই সত্য করতে চায়। কিন্তু, তাদের আমলে মানুষ কি পেয়েছে- খাবার জন্য হাহাকার, বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে মানুষ মারা গেছে, শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি চেয়েছিল বলে রমজান মাসে ২৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল খালেদা জিয়া, ১৮ জন কৃষক সার চেয়েছিল বলে তাদের হত্যা করেছিল।


    শেখ হাসিনা বলেন, তাদের এগুলোই রেকর্ড, তারা এগুলোই করে গেছে। আর আজকে সারও কারো কাছে চাইতে হয় না। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সুপেয় পানি ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছি, এখন থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দরিদ্র ডায়বেটিক রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিনও প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


    তবে, মানুষ ভাল থাকলে বিএনপি-জামাতীদের মনে কষ্ট হয় বলে তাঁর মনে হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মনে রাখতে হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই মাটিতেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তিনিই এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই, তাঁর বাংলাদেশে কোন মানুষ অন্ন কষ্ট পাবে না, গৃহহীন থাকবে না,  শিক্ষার আলো বঞ্চিত থাকবে না- প্রত্যেকটি মানুষের জীবন মান উন্নত হবে, বলেন তিনি। 


    শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ এবং তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন তাঁর বাংলাদেশ সে ভাবেই বিশ^ দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আওয়ামী লীগ এবং এর প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে ।


    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন। 


    দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও এডভোকেট আফজাল হোসেন সভায় বক্তৃতা করেন।


    আরো বক্তৃতা করেন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও আবু আহমেদ মান্নাফী।


    দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম সভাটি সঞ্চালনা করেন। 


    বিএনপির অপপ্রচারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করে অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে। এতো মিথ্যা কথা তারা পায় কোথায় থেকে? আমরা নাকি দেশের কোনই উন্নয়ন করিনি, সবকিছু ফোকলা ও ধ্বংস করে দিয়েছি! আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। মেট্টোরেল করেছি, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করছি। একদিনে একশ’ সেতু, একশ সড়ক নির্মাণ কোন সরকার করতে পেরেছে? এসব কি উন্নয়ন না। চোখ থাকতেও কেউ অন্ধ হয়ে থাকলে তাদের কিছুই চোখে পড়ে না।


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে দেশের বাজেট ছিল মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকা। আর আমরা ৬ লাখ কোটি টাকার ওপরে বাজেট দিয়েছি। দেশের উন্নয়ন না হলে এতোবড় বাজেট কিভাবে দিলাম? গত ১৪ বছরে শিক্ষার হার ৭৫ ভাগে উন্নীত করেছি, ২ লাখ ৫৩ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি, বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দিচ্ছি। বাংলাদেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, আমরাই প্রথম দেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি এবং আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। প্রত্যেক বিভাগেই আমরা একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করবো। দেশের যদি উন্নতি না হয় তবে এসব আমরা করছি কিভাবে?


    তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ। সারাদেশে ইন্টারনেট, ওয়াইফাই হয়েছে। নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। এ কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মহামারির কারণে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্যাভাব দেখা দিলেও বাংলাদেশে কোনো মানুষের খাদ্যের কোন অভাব আমরা হতে দেইনি। এসব কি উন্নয়ন নয়? 


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিএনপিই আমরা যখন দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করলাম, তখন বলেছিল এটা ভালো না বিদেশ থেকে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। আসলে তারা দেশকে ভিক্ষুকের জাতি ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। কারণ, তাদের নীতিই হচ্ছে দুর্নীতি, মানুষের অর্থ-সম্পদ লুটেপুটে খাওয়া।


    ’৭৫ পর থেকে ৯৬ পর্যন্ত এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’৯৬-তে আমরা যা অর্জন করেছিলাম, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামাত শুধু তা ধ্বংসই করেনি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সারাদেশে নৃশংস হত্যাকান্ড, বাড়িঘর ভাঙচুর, নির্যাতন করেছে।


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসংখ্য সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। কিন্তু এতো অত্যাচার করেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তারা দমাতে পারেনি। আওয়ামী লীগকে কেউ নিঃশেষ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে, তাকে উপড়ে ফেলা যায় না। 


    তিনি বলেন, এ দেশের সংবিধানে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধান আংশিক সংশোধন করে নিয়ে মার্শাল ল’অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরকেও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিল।


    সরকার প্রধান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারির হাতে জন্ম বলে যখনই ক্ষমতায় এসেছে এরা মানুষের জন্য কিছুই করেনি। জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া এদের তো শেকড় নেই।


    তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই সৃষ্টি, এমনকি তারা পুলিশ প্রটেকশন নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে। পাঁচবার দুর্নীতিতে দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান করেছে। দেশ ধ্বংস করে আবার এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলো। এরপর দেশের মানুষের আন্দোলনের ফলে দেশে ইমার্জেন্সী আসে।

    খালেদা জিয়ার পরিবারের বিপুল অর্থবিত্ত কিভাবে হলো-সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার ৪০ দিন পর্যন্ত টিভিতে দেখানো হলো জিয়া কিছু রেখে যায়নি। জিয়াউর রহমানের প্যান্ট কেটে ছোট করে (অলটার) তারেক ও কোকোকে পরানো হোত। একটা ভাঙা সুটকেস ও ছেড়া গেঞ্জি রেখে গেলো। তাহলে সরকারের আসতে না আসতেই কিভাবে হাজার হাজার কেটি টাকার মালিক এরা হলো?

    “কাদের টাকা চুরি করে হলো। চুরি তো চুরি, সে চুরি আবার ধরা পরলো আমেরিকার এফবিআইয়ের হাতে। ধরা পরলো সিঙ্গাপুরে জুয়া খেলতে গিয়ে। আমরা অবশ্য ৪০ কোটি টাকা ফেরত আনতে পেরেছি। এখনও বিএনপি নেতাদের বহু টাকা বিভিন্ন জায়গায় ফ্রিজ করা আছে। তাহলে এই টাকা কাদের টাকা। জনগণের টাকাই এরা পাচার করেছে। আর জনগণকে গ্রেনেড হামলা, গুলি, খুন, হত্যা ছাড়া আর কিছু দিয়ে যেতে পারেনি। আর তাদের ভাঙা সুটকেস তো যাদুর বাক্সে পরিণত হয়ে গেলো। সেখান থেকে ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে, একটার পর একটা লঞ্চ হচ্ছে,” বলেন তিনি।


    বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে মিলে এদেশের কিছু বেইমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংসের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।


    তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।


    সামনে রমজান মাস, মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য যা যা প্রয়োজন তাঁর সরকার তার ব্যবস্থা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের সকলের নজর রাখতে হবে কেউ যেন খাদ্য মজুদ বা কালোবাজারি করতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা ১ কোটি মানুষকে পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে খাদ্যপণ্য দিচ্ছি। ৫০ লাখ পরিবারকে মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে চাল প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। প্রয়োজন হলে আরও ৫০ লাখ মানুষকে এর আওতায় আনবো। আমরা দেশের কোন মানুষকে কষ্টে থাকতে দেবো না বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    মুক্তির ৭১/নিউজ /বাসস

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 462782

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ

            ৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২

            ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।

            যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২

            ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com