সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা,
নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধানগণ, উপস্থিত উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ
আসসালামু আলাইকুম,
১। নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর পদোন্নতির সভার শুরুতেই আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত প্রবাদপ্রতিম নেতৃত্ব, অসামান্য প্রজ্ঞা ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অকৃত্রিম দেশপ্রেম ও অসীম সাহসিকতার মাধ্যমে জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও সম্ভ্রমহারানো দুই লক্ষ নির্যাতিত মা- বোনদের প্রতি। একই সাথে আমি অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, আমার তিন ভাই ও পরিবার পরিজনসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকলকে। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
২। নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৩ এর আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। জাতীর আস্থা ও ঐক্যের প্রতীক বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিজেদের আন্তরিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও উন্নত পেশাগত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দায়িত্ব পালনের এ ধারা অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত, দেশপ্রেমিক এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, উপযুক্ত কর্মকর্তাদের হাতেই বাহিনীর নেতৃত্ব অর্পণ করতে হবে। আজ থেকে শুরু হওয়া এই পদোন্নতি সভায় আপনারা নিজ নিজ বাহিনী এবং দেশের স্বার্থে যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করবেন বলে আমি আস্থা রাখছি। আমার বিশ্বাস আপনাদের উপর অর্পিত এ পবিত্র দায়িত্ব আপনারা প্রজ্ঞা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে সম্পন্ন করবেন।
উপস্থিত সুধীবৃন্দ,
৩। স্বাধীনতা পরবর্তী একটি যুদ্ধবিধস্ত ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত এবং সুসংহত রাখার পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সুশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তন করেই সশস্ত্র বাহিনী পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। আর তাই জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত প্রায় শূন্য থেকে মাত্র ০২টি পেট্রোল ক্র্যাফট নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। অতঃপর ১৯৭৪ সালে নৌবাহিনীর সকল প্রধান ঘাঁটিসমূহকে একযোগে কমিশনের পাশাপাশি প্রণীত হয় 'দ্যা টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪' যা বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ দূরদর্শিতার একটি অনন্য উদাহরণ। অপরদিকে, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতার সামরিক প্রজ্ঞা ও দর্শনের পাথেয় করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয় তৎকালীন অত্যাধুনিক মিগ-২১, সুপারসনিক যুদ্ধবিমান, এএন-২৪ ও এএন-২৬ পরিবহন বিমান, এমআই-৮ হেলিকপ্টার এবং এয়ার ডিফেন্স র্যাডার। এরই মাধ্যম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যাত্রা শুরু হয় ।
৪।জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বিগত ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রথমবার সরকার গঠনের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান সংগ্রহ এবং অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে পরবর্তীতে বর্তমান সরকার দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের পেশাগত দক্ষতা, মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে 'জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি-২০১৮' প্রণয়ন করে। “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়” এটিই আমাদের প্রতিরক্ষা নীতির মূল স্তম্ভ। এছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রণীত 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' এর আওতায় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী আধুনিকায়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
৫ । ২০০৯ হতে অদ্যাবধি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ০৪টি ফ্রিগেট, ০৬টি করভেট, ০৪ লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, ০৫টি পেট্রোল ক্রাফট এবং ০২টি ট্রেনিং শিপসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ সংযোজিত হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, উপকূল এলাকায় যুদ্ধকালীন ও শান্তিকালীন নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে গত ১২ জুলাই ২০২৩ তারিখে বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটিসহ ৪১তম পিসিএস ৪টি জাহাজ এবং ৪টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি এর কমিশনিং সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও, ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের প্রয়োজনে বর্তমান সরকারের আমলে ২ টি হেলিকপ্টার ও ২ টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট নিয়ে গঠিত হয় নেভাল এভিয়েশন। সম্প্রতি নেভাল এভিয়েশনে ২টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজনের পাশাপাশি আরো ২টি হেলিকপ্টার অচিরেই সংযোজন হওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১৭ সালের ১২ই মার্চ নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয় দুটি সাবমেরিন। এরই মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পরবর্তীতে গত ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখে একটি পূর্ণাঙ্গ ও অত্যাধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা কমিশনিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা বাংলাদেশ সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। এছাড়াও, গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক প্রথমবারের মত আয়োজিত International Fleet Review (IFR) - 2022 এ বিশ্বের ২৮টি রাষ্ট্রের নৌপ্রধান ও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।
প্রিয় সুধীবৃন্দ,
৬ । অপরদিকে বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে সংযোজন করা হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার ডিফেন্স র্যাডার, ওয়েদার র্যাডার, এয়ার ট্রাফিক র্যাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন নতুন ঘাঁটি, ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নও অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে বিমান বাহিনীতে সাইবার ওয়ারফেয়ার ও তথ্য প্রযুক্তি পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ নানামুখী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্প্রতি, বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক GROB 120 (গ্লোব ওয়ান টু জিরো) প্রশিক্ষণ বিমান, Unmanned Aerial Vehicle System (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম), এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্ট্রিগ্রেশন, মোবাইল গ্যাপ ফিলার র্যাডার এবং খুব শীঘ্রই সংযোজিত হতে যাচ্ছে ক-৮৬ (কে-এইচ ডব্লিউ) এয়ারক্রাফট সিমুলেটর এবং এ্যাটাক হেলিকপ্টার এর মত অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম। এছাড়াও, বিমান বাহিনীর জন্য ক্রয় করা হয়েছে ভিস্যাট হার ও টার্মিনাল স্টেশন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সহায়তায় এই ভিস্যাট হার ও টার্মিনাল স্টেশনের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও ইউনিটসমূহে স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ সম্ভব হবে। বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও স্থাপনার নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার পাশাপাশি বিশেষ অভিযান (Special Operation) পরিচালনায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে 'এয়ার রেজিমেন্ট' প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ও স্থাপনা সংযোজনের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুযোপযোগী করার জন্য আমাদের সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।
প্রিয় কর্মকর্তাবৃন্দ,
91 আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতে চাই যে, অতীতের সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে আজ সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে উঠেছে গণমানুষের হাতে। আর তাই সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সমৃদ্ধির সোপান ধরে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বব্যাপি অর্থনৈতিক মন্দাসহ শত প্রতিকূলতায় সারা বিশ্ব যখন থমকে গেছে তখনও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাসহ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে রাজধানীর সাথে যুক্ত করতে পদ্মা সেতু, ঢাকার যানজট নিরসনে নির্মিত মেট্রোরেল, সর্বস্তরের দেশবাসীর জন্য শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতকল্পে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রুপপুর পারমাণবিক ও রামপাল তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক যুগান্তকারী মাইলফলক রূপে বিশ্বে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু টানেল, এলএনজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস হাইওয়ের মতো প্রকল্পসমূহ বাস্তবে রুপান্তরিত হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য হতে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখের অধিক মিয়ানমার নাগরিককে মানবিক সাহায্য
সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তাদেরকে প্রত্যাবাসনের জন্য কূটনৈতিক কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য প্রাপ্যতা ইত্যাদি সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অতিক্রম করেছে। আমাদের উন্নয়নের ভিত্তিকে আরও মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে 'Bangladesh Delta Plan-2100' বাস্তবায়ন শুরু করেছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত Sustainable Development Goal (SDG) অর্জন করতে সক্ষম হবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে ইনশাআল্লাহ।
উপস্থিত সুধীবৃন্দ,
৮। “শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দূর্জয়' ও 'বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত' এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যে কোন দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দেশ গঠনের নিমিত্তে যে কোন সেবামূলক কাজে নিজেদের উৎসর্গ করেছে। এসকল গঠনমূলক কর্মকান্ড বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে এনে দিয়েছে বাংলার আপামর জনতার গভীর ভালবাসা ও পরম শ্রদ্ধা। শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সশস্ত্র বাহিনী সদস্যগণ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত থাকার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজেদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলাবোধের পরিচয় দিয়েছে।
উপস্থিত নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যবৃন্দ,
৯৷ আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য TRACE (Tabulated Record And Comparative Evaluation) এর মতো একটি আধুনিক ও যুক্তিনির্ভর পদ্ধতির উপর জোর দেয়া হয়, যা একজন কর্মকর্তার পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ন নির্দেশ করে । এর পাশাপাশি আপনারা বিচক্ষণতা ও নিরপেক্ষ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে উঁচু নৈতিক মনোবল ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তা, বিশেষতঃ যারা Practical aspect Ground performance এ ভালো, তাদেরকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিবেন। সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জাতির পিতার কাঙ্খিত আদর্শ নির্বাচনী পর্যদে পদোন্নতি প্রাপ্ত অফিসারদের মাঝে প্রতিফলন হয় এবং নৌ ও বিমানবাহিনীর নেতৃত্ব ন্যস্ত হয় তাদেরই হাতে যারা দেশপ্রেমিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এছাড়াও শৃঙ্খলা একটি সুসংগঠিত বাহিনীর মেরুদন্ড। তাই পদোন্নতির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয়ে আপনারা কোন প্রকার আপোষ করবেন না।
১০। নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ আজ এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আপনাদের প্রজ্ঞা, বিচার-বুদ্ধি এবং ন্যায়পরায়ণতার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আপনারা ন্যায় নীতির ভিত্তিতে উপযুক্ত নেতৃত্ব নির্বাচনে সর্বতোভাবে সফল হবেন-এ কামনা করে আমি নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী প্রধানকে নির্বাচনী পর্ষদের কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি প্রদান করছি। মহান আল্লাহ তা'লা আমাদের সহায় হোন।
আল্লাহ হাফেজ
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।