ঝিনাইদহ(প্রতিনিধি)

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থানায় যোগদানের পর পুলিশের সেবা জনগনের দৌড়গোড়ায় নিয়ে গেছেন ওসি আবু আজিফ।  এতে করে জনগন হয়রানী থেকে মুক্ত হয়েছেন। সেবার মান আরও বাড়াতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। সাধারণ মানুষ তার কাছে এসে সরাসরি তাদের অভিযোগ বলতে পেরে সস্তি প্রকাশ করছেন।

অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আবু আজিফ যোগদানের পরে এলাকার আইন শৃঙখলা ঠিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। হরিণাকুণ্ডু থানা এরিয়ার মধ্যে ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, মাদক, জুয়া, চুরি ও ডাকাতির পরিমাণ কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও। ‘‘পুলিশি জনতা, জনতায় পুলিশ’’ জনগনের প্রকৃত বন্ধু যে পুলিশ সেটা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

ওসি আবু আজিফ এর চৌকুশ তৎপরতায় উপজেলা জুড়ে অপরাধ কমিয়ে প্রায় শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠাবান তৎপরতায় জনমনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। তবে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দাবী তুলেছেন সুশীল সমাজ।তিনি দায়িত্ব নেবার পর গোটা উপজেলায় পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, ধর্ষণের আসামি, চোর ডাকাতসহ বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন ও অভিযান চলমান রেখেছেন।

এছাড়াও উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশের নিয়মিত টহলে কমেছে ছিন্নমূল অপরাধী। ওসির এহেন তৎপরতায় খুশী  উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ,

স্বস্তিতে আছেন জনসাধারণ। এ উপজেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে এরই মধ্যে তিনি  ইউনিয়ন ও  পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় সাংবাদিক, কমিউনিটি পুলিশি এবং গ্রাম পুলিশদের নিয়ে মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, চুরি ডাকাতি বন্ধে সভা সমাবেশ করেছেন।

তাঁর নেতৃত্বেই প্রতিরাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এলাকার দাগী চোর, ডাকাত এবং মাদককারবারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের নিয়ে সন্ত্রাস নকশকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক সভা করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে সচল রেখেছেন।

হরিণাকুণ্ডু পৌরসভাসহ উপজেলার বিশেষ বিশেষ পয়েন্টে নজরদারি ও অভিযানের কারণে ইদানিং সেসব স্থানে কমে গেছে মাদককারবারী ও সেবীদের আনাগোনা। স্কুল কলেজের ছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে পুলিশের পর্যাপ্ত টহলের কারণে কমেছে ইভটিজিং বা মেয়েদের উত্ত্যক্তের ঘটনা। কমেছে বখাটেদের উৎপাত।

থানায় সেবা নিতে আসা এক স্কুল শিক্ষক বলেন, থানায় জিডি বা অভিযোগ দিতে গিয়ে এখন আর আগের মতো হয়রানির শিকার হতে হয়না। (ওসি) আবু আজিফ তিনি নিজেই সকলের অভিযোগ শুনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেন এবং কোন দুর্ঘটনার খবর পেলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান । ওসি’র ব্যাপক তৎপরতায় উপজেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন।

ওসির বন্ধুসুলভ আচরণে থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আবু আজিফ  বলেন:পুলিশের তৎপরতায় এখন এলাকায় মাদকের নির্দিষ্ট কোন আস্তানা নেই।পুলিশের নিয়মিত টহলের কারণে অপরাধ অনেক কমে গেছে। পুলিশের পাশাপাশি উপজেলাজুড়ে অপরাধ কমানোর কৃতিত্বের অংশীদার জনগণ, রাজনৈতিক নেতা এবং জন-প্রতিনিধিরাও বলে তিনি দাবি করেন।

জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত একটি আদর্শ মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

মুক্তির ৭১/নিউজ /মাহফুজুর