শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • বাংলাদেশ

    গভীর সমুদ্র থেকে ফিরছে ইলিশ বোঝাই ট্রলার , দাম নাগালের বাইরে

    কলাপাড়া প্রতিনিধি থেকে
    প্রকাশ: ১৯ অগাস্ট ২০২৩ ইং
          209
    ছবি: বড় সাইজের ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে কৃষকের জালে
      Print News


    কলাপাড়া প্রতিনিধি:


    ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও প্রকৃতির বৈরীতার পর অবশেষে ইলিশ বোঝাই ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরছে গভীর সমুদ্রের জেলেরা। দীর্ঘদিন পরে ইলিশের দেখা পেয়ে খুশি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে গভীর সমুদ্রের জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা পেলেও উপকূলবর্তী জেলেরা হতাশ। ছোট ট্রলার,ফাইবার বোট, ইঞ্জিন বোট নিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে নামা জেলেদের জালে মিলছেনা ইলিশ। ইলিশের দেখা মিলছে শুধু গভীর সমুদ্রে। তাও আবার দাম

    মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।


    গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) কুয়াকাটা উপকূলের আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বিভিন্ন আড়ৎগুলোতে স্থানীয় ছাড়াও চট্টগ্রাম, ভোলা, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার এলাকার গভীর সমুদ্র গামী অনেক ট্রলার  ইলিশ মাছ

    বিক্রি করতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে। ইলিশ বোঝাই ট্রলার গুলো নোঙ্গর করায় সরগরম হয়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। বিভিন্ন সাইজের ইলিশের ক্রয়-বিক্রয় এবং পরিবহন শ্রমিকদের হাক ডাকে কর্মমূখর চাঞ্চল্য ফিরেছে বন্দরে।


    ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে সমুদ্রে যেতে পারেনি জেলেরা। এবার ইলিশের দেখা পেয়ে সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে জেলেরা। তবে অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতারা লোকসানের কবলে পড়ছে। ইলিশের দাম শুনে ক্রয়ের আগ্রহ নেই মধ্যবিত্তের।


    কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকার জেলে জয়নাল মাঝি (৫০)'র জালে ধরা পড়েছে বড় সাইজের দুটি ইলিশ। এর মধ্যে একটির ওজন হয়েছে ২ কেজি ১০০ গ্রাম ও অপটির ওজন হয়েছে ১ কেজি ৯০০ গ্রাম। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় মহিপুরের আকন ফিস মৎস্য আড়তে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ ইলিশ দুইটি  নিয়ে আসা হয়। পরে অন্য ইলিশের সঙ্গে ৬৫ হাজার টাকা মন হিসেবে মাছ দুইটি নিলামে বিক্রি করা হয়। এ মৌসুমে জেলেদের জালে ধরা পড়া এ ইলিশ দুইটির ওজন সবচেয়ে বেশি। জেলে জয়নাল মাঝি জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাসনিয়া তিহা নামের এক ট্রলার নিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে ১৭ জেলে সহ গভীর সাগরে মাছ ধরার জন্য যান তিনি।


    পরে গতকাল রাঙ্গাবালি উপজেলার মৌডুবী ছয়বাম সংলগ্ন সাগরে জাল ফেলার পর অন্যান্য ইলিশের সঙ্গে এ মাছ দুইটি ধরা পড়ে।


    এর আগে নোয়াখালী এলাকার এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক মিজান মাঝির জালে

    ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ। পায়রা সমুদ্রবন্দরের শেষ বয়ার সীমানায় জাল ফেলে গত রোববার বিকেলে তিনি এই মাছ পান। সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে মাছ নিয়ে তিনি মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরে আসেন। বিকালে ওই মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিস নামের একটি আড়তে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় এই ইলিশ বিক্রি করেন। মিজান বলেন, ‘মাছ পাইমু আই চিন্তাও হরি নাই। ধার-দেনায় আই জর্জরিত হইয়া গেছি। মাছ বিক্রি করি যে-ই টেহা হাইছি, হেগুন দি আই দেনা শোধ করি দিমু।’


    সমুদ্র থেকে ফিরে আসা ফিরে আসা এফবি মরিয়ম ট্রলারের মাঝি আব্দুল মান্নান মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কমের প্রতিবেদককে বলেন, ‘৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর পরই আবহাওয়া খারাপ হইয়া যায়। এতে অনেক

    জেলে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারে নাই। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পর জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু করেছে। কেউ ১০ মণ, কেউ ১২ মণ ইলিশ পাচ্ছে। মিজানের জালে ৯৬ মণ ইলিশ ধরা পড়লো। সামনে মাছ আরও বেশি পড়বে বলে মনে হচ্ছে।’


    আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বিক্রি করতে আসা এফবি মারুফ ট্রলারের মাঝি বেল্লাল হোসেন বলেন, 'গত দশদিন আগে সাগরে মাছ ধরতে গেছিলাম প্রথম চার দিন জাল টেনে কোন মাছ পাইনি। পরে অল্প অল্প মাছ পেতে থাকি।  গতকালকে পর্যন্ত মোটামুটি ভালো মাছ পেয়েছি যা গত এক বছরেও পাইনি। আজকে মাছ নিয়ে

    আলিপুর মৎস্য বন্দরে বিক্রি করতে এসেছি, মাছ বিক্রী করে ১০ লক্ষ টাকার উপরে পাইছি।'


    মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, গভীর সমুদ্রের জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে আসছে এবং ভালো দামও পাচ্ছে। আজকের জাটকা ২১ হাজার টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ ২৮ হাজার, ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ ৩৬ হাজার এবং ১কেজির উপরের ইলিশ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দামে জেলেরা খুশী থাকলেও প্রায়ই লোকসান গুনছেন পাইকারি ক্রেতারা ।


    কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, 'গত কয়েক দিন যাবৎ গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারকারী ট্রলারগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ফিরছে। তবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপকূলবর্তী জেলেরা। এর প্রধান কারণ হলো আন্ধারমানিক ও রামনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন বেশ কয়েকটি ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে যে কারণে ইলিশ তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। উপকূলের

    জেলেদের জন্য পরামর্শ থাকবে তারা যেন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের সরঞ্জামাদি তৈরি করে।



    মুক্তির ৭১/নিউজ /রাসেল

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 712292

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ 

            যোগাযোগ -০১৭৫৫৫১৬৯২১

            ইমেইল - info@muktir71news.com