নিউজ ডেস্কঃ
মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদীতে বালুর জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের সন্ধানে অভিযান চলছে।
বিআইডব্লিউটিএ এয়ার লিফটিং ব্যাগ এবং চেন কপ্পা পদ্ধতিতে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
আর কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুর্ঘটনার আশাপাশের নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও স্বজনরা নিজস্ব উদ্যোগে ট্রলার নিয়ে তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে খোঁজাখুজি করছে।
নিহতদের পরিবারগুলোর মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
প্রশাসন জানিয়েছে, ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো দুই শিশু ও তিন নারীসহ অন্তত ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলার খেতেরপুর থেকে পিকনিকের ট্রলারটি পদ্মা সেতু এলাকা ঘুরে ফিরছিল।
দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আটক করা হয়েছে বালু বহনকারী ঘাতক বাল্কহেট। পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেট চলাচল নিষিদ্ধ করার পরও কেন রাতে চলছিল তাই নিয়ে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের।
বিআইডব্লিউটিএ উপ পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রালটির প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ। এর ওজন প্রায় ৭ মেট্রিক টন।