শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • বাংলাদেশ

    ব্যক্তিগত কাজ করে না দেওয়ায় কর্মচারীকে জবি কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতের হুমকি

    থেকে
    প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৩ ইং
          320
    ছবি: কামাল হোসেন সরকার
      Print News



    জবি প্রতিনিধি:


    ব্যক্তিগত কাজে না করে দেওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উত্তম বৈরাগীকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার। এঘটনার পর ভয়ে দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না ভুক্তভোগী ওই কর্মচারী।


    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার (১৯ মে)  রাত ৮ টায় ডিউটি শেষ করে বাসার পথে রওনা হোন ভুক্তভোগী কর্মচারী উত্তম বৈরাগী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আসলে তাকে আটকান কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার। এরপর উত্তম বৈরাগীকে তার একটি ব্যক্তিগত কাজ করে দেওয়ার জন্য বলেন। এ সময় ওই কর্মচারী জানান, সারাদিন ডিউটি করায় তিনি ক্লান্ত। তাই বাসায় যাচ্ছেন। সেজন্য তার কাজটি করে দিতে পারবেন না। 


    উত্তম বৈরাগীর এই কথা শুনে রেগে যান কর্মকর্তা কামাল হোসেন। তখন কামাল হোসেন বলেন, তোর এতো বড় সাহস। কর্মচারী হয়ে কর্মকর্তার মুখের ওপর কথা বলিস! তোর ঘাড়ের রগ সোজা করে দিব। ১৩ তারিখের পর (১৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অবসর গ্রহণের দিন) তুই কেমনে চাকরি করিস দেখে নিব।' এরপর ওই কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কামাল।


    এরপর ওই কর্মচারী মানসিকভাবে কষ্ট পেয়ে কারোর নাম উল্লেখ না করেই এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন,‘ কিছু কিছু ডেপুটি রেজিস্ট্রার কর্মচারীদেরকে মানুষ মনে করে না। তারা নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারেন। এই সব ডেপুটি রেজিস্ট্রারদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম হয়। কিন্তু সব ডেপুটি রেজিস্ট্রার সমান হয় না। কিছু মাটির মানুষও আছে। আসলে আমরা ছোট চাকুরী করি, তাই আমাদের হাত-পা বাঁধা থাকে কাউকে কিছু বলতে পারি না। কেউ আমার কথা কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমি খুব দুঃখিত।’


    ফেসবুকে এই পোস্ট দেওয়াই কাল হয়ে দাঁড়ায় ভুক্তভোগী উত্তম বৈরাগীর জন্য। পরদিন অভিযুক্ত কামাল হোসেন সরকার, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের (কাজী মনির), হিমাদ্রী শেখর মন্ডল, পুলক ঘোরামীসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে ভুক্তভোগী উত্তম বৈরাগীকে ডেকে নিয়ে চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় উত্তম বৈরাগীকে দিয়েই দিয়ে স্যরি বলান তারা।


    এবিষয়ে ভুক্তভোগী উত্তম বৈরাগী বলেন, আমাকে তিনি তার একটি ব্যক্তিগত কাজে যেতে বলেছিলেন। আমি ক্লান্ত থাকায় যাইনি। সেজন্য আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। কষ্ট পেয়ে কারোর নাম উল্লেখ না করেই ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। এরপর আবারও আমকে অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ করে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে কিছু করে কিনা তাই আমি ভয়ে দুই দিন ক্যাম্পাসে যায়নি। কালও হযতো যাব না। 


    এবিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার বলেন, ‘কাজটির বিনিময়ে আমি তাকে টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও সে করেনি। আমি তার বস, সিনিয়র। সে এমনভাবে বলে তাই আমার একটু খারাপ লাগে। তাকে চাকরিচ্যুত করার কোনো হুমকি দেইনি।’


    এবিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 463572

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ

            ৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২

            ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।

            যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২

            ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com