জবি প্রতিনিধি:
মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কম
সময় ২৩ঃ০০
২০১৯ সালে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু নতুন ক্যাম্পাসের ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর করার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একটি নিজস্ব রেল স্টেশন স্থাপনের কথা মৌখিক ভাবে বলে যান।
পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ঢাকা - যশোর রেলপথ। যার মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে রেলওয়ে সংযুক্ত হবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। দীর্ঘ ১৭২ কিলোমিটার এই রেলপথটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেরানীগঞ্জে নতুন ক্যাম্পাসের পাশ বরাবর চলে গেছে। মৌখিক ভাবে জবির নিজস্ব রেল স্টেশন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে নেই কোন কার্যক্রম।
কোটি মানুষের লালায়িত স্বপ্ন ছিল পদ্মা সেতু। যে স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে গত ২৫ জুন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা চালু হয়েছে ঢাকার সঙ্গে। যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়ার পর পরই জোরে শোরে চলছে পদ্মা সেতুর রেলওয়ে সংযোগের কাজ। আর এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে ঢাকা- যশোর রেলপথ। ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন রেলপথ প্রকল্পটি সংযুক্ত করবে অনেক এলাকাকে।
২০১৯ সালে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু নতুন ক্যাম্পাসের ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর করার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একটি নিজস্ব রেল স্টেশন স্থাপনের কথা মৌখিক ভাবে বলে যান।
কিন্তু রেলপথের কাজ এগিয়ে গেলেও এবং বিভিন্ন জায়গায় নতুন স্টেশন এর কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ তিন দফায় বাড়িয়ে এখনো পর্যন্ত সীমানা প্রাচীরের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি তারা।
নিজস্ব রেল স্টেশন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কমের জবি প্রতিনিধিকে জানান, 'এই বিষয়ে আমার কাছে কোন আপডেট নেই তথ্য নিয়ে আপনাকে জানাবো, আর বিষয়টা মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ'।
এছাড়া নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাহাদাত হোসেন বলেন, আমিও শুনেছি একটা স্টেশন হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে অবশ্যই স্টেশন হবে, তবে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি।
ঢাকা-যশোর রেলপথে মোট স্টেশন থাকবে ২০ টি। যার মধ্যে ১৪ টি নতুন নির্মাণ করা হবে এবং বাকি গুলো পুনঃ বিন্যাস করা হবে। প্রথম সেকশন ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত হবে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন। দ্বিতীয় সেকশন হবে গেন্ডারিয়া থেকে মাওয়া ৩৬ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন। এটি ব্রডগেজ। এই সেকশনে থাকবে ৪টি স্টেশন। তবে এখানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোথায় জবির স্টেশন হবে তা নিয়ে কিছু বলেনি।
প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাহাদাত হোসেন বলেন, রেল লাইনের সঙ্গে ক্যাম্পাসের যে সীমানা আছে তার উত্তর পাশে ৮০০ মিটার মাটি রেললাইন বারবার সমান আছে সেখানে হতে পারে। তবে সব কিছু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর নির্ভর করছে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা কোন বিষয় না, আমার যখন কাজ শুরু করবো তখন দেখা যাবে'।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা-যশোর রেল প্রকল্পটি ২০২৪ সালে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে মাওয়া-ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচলের কথা বলা হয়েছে।
মুক্তির ৭১/নিউজ/ আসাদুজ্জামান আপন