কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর সাগর পারের কলাপাড়ার স্হানীয় এম,পি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতার ধুলারসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ আব্দুর রহিম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামীগের এক নেতা বলেন, ‘মূলত আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফসল এটি। যে কারণে নৌকা প্রতীকের বরাদ্দ সঠিক ভাবে হয়নি। ওখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, বিএনপিরও একজন প্রার্থী ছিলেন। তারা সবাই চেষ্টা করেছে নৌকাকে ঠকাতে। তাই হয়েছে।এছাড়া স্হানীয় বিএনপির একাধিক নেতারা নাম না করার শর্তে বলেন,বিএনপি পকেট কমিটি করার কারনে এতে ভালো নিবার্চনে আমাদের নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেনের নিজ বাড়ির ইউনিয়নে আমাদের প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। এর প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলারসর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ১ হাজার ৩৫৯ ভোটে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ আব্দুর রহিম। এছাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক প্রিন্স খালিফা আনসার মার্কা নিয়ে ১৩৭০ভোট পেয়ে চতুর্থ স্হানে রয়েছে।
ইউপি নির্বাচনের ভোট শেষে বুধবার সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে ঘোষণা দেয়া ফলে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে আব্দুর রহিমকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রশিদ।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন বাড়ি এই ধুলারসর ইউনিয়নে। সেখানে হাতপাখার প্রার্থীর কাছে নৌকার মোদাচ্ছের হাওলাদার ও বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী আনসার মার্কার প্রিন্স খলিফার হারের পেছনে আওয়ামীও বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ি করেছেন নেতারা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, হাতপাখার আব্দুর রহিম পেয়েছেন ৪৩১২ আর নৌকার প্রার্থী মোদাচ্ছের পেয়েছেন ২৯৫৩ ভোট।
ভোটে প্রার্থীর জয়ে উচ্ছ্বসিত ইসলামী আন্দোলনের পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ওহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ভোট দিতে পারত না, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারত না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ দিশেহারা অবস্থায় ছিল। এসব বিষয় নিয়ে আমরা মানুষের দোড়গড়ায় পৌঁছেছি।