সোমা ঘোষ মণিকা:
নারী হয় কেমনে বে*শ্যা;
বহু পুরুষে না ছুঁলে?
তোমার রাতের রানী যে
রবির আলোয় তারে যাও ভুলে।
দিনের আলোয় নিষিদ্ধ বে*শ্যা
রাতের সূর্যমুখী
বে*শ্যার তবু রয়েছে এক পরিচয়
তোমরা পুরুষ সব দ্বিচারি।।
বে*শ্যা মরলে হয় না'কো জানাযা
মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ
বে*শ্যার টাকায় গড়ে মসজিদ
গড়ে দূর্গা প্রতিমা।।
বে*শ্যালয়ের মাটি ছাড়া হয় না'
তোমাদের শারদীয়া আরাধনা।
তবুও সমাজ নাক কুঁচকায়
বলে গেল গেল সব রসাতলে
সমাজপতি বলে জাত গেল রে তবে
যদি বে*শ্যা ঢুকে মাহফিলে।
নি*শিকন্যার শরীরখানি বড়ো খা সা
থানার বড়ো বাবু পেলে
চিবিয়ে খায় জ মিয়ে,
ডাক্তার- মুক্তার, মহাজন
আরো আছো যারা সমাজপতি, গুরুজন
উকিল ব্যারিস্টার সবাই নাচে
বে শ্যালয়ে উদ্দাম নাচ
বে -শ্যার ঘরে, সব বাবুদেরই খুলে
সভ্য সমাজের ভাঁজ।।
জানি গো বাবুরা জানি
আমার কথায় তোমাদের দরবেশী
লেবাসে ভদ্দর সমাজে লাগবে খুব আঁচ।।
বে শ্যার তবু রয়েছে ভাই
সামান্য শরম- হায়া- লাজ
তোমরা কেবলি খুঁজে ফিরো শরীর
লুটেপুটে নাও বক্ষ বিভাজিকার ভাঁজ
সমাজে ঘুরেফিরো পর মাথায়
সাধু ভদ্রলোকের তাজ।।।
তোমরা যারা সভ্য আছো যত
বল তবে কে বানায় নারীকে প তিতা??
এই নারীকেই দেখি মহাঅষ্টমীতে
দেবী রূপে করো কুমারী পূজা।।
তুমি, আমি সব সাধু
বে শ্যা দেখিলে বলি দূর হ দূর হ
তবে বল, কে রাতের আঁধারে
বে শ্যার কোমল বুকে মুখ ঘঁষে?
কে তবে ভাই বাইজী
নাচায়?
মদের নদে কূল মান ডুবায়?
বে শ্যার তবু রয়েছে কিছু
আদব- কায়দা, স্হান কাল পাত্রের পরিসীমা
তোমরা যারা দিনের আলোয়
বৌয়ের আঁচলে মুখটি ডাকো
তারাই বল, বে -শ্যালয়ে রাতের আঁধার ঘনিয়ে এলে
এতো পুরুষ কোথা হতে আসে??
নাকি বে শ্যারা সব স্বর্গদেবী
তাঁদেরই করিতে স্তুতি
কোটি দেব মর্ত্যে নামে
লয় মর্ত্য পুরুষের বেশ
হয় যদি তা তবে মানিব
তোমরা সব সুফী দরবেশ।।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ
৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।
যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২
ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com